নভেম্বর ৬, ২০২৪

বুধবার ৬ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার বৃহত্তর নিমসার বাজারে খাজনা আদায় বন্ধ ঘোষণা

কুমিল্লার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শাক-সবজির পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসারে খাজনা আদায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার এ বাজারটিতে দীর্ঘদিন ধরে ইজারার নামে চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ছিলেন অতিষ্ঠ। এমন পরিস্থিতিতে আজ রোববার সকালে ওই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স এই নির্দেশনা দেয়। এ সময় এই বাজারে খাজনা আদায় ও চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মাহফুজা মতিন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজা মতিন বলেন, নিমসার বাজার থেকে খাজনা আদায় করা যাবে না মর্মে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়া যারা ইজারা আদায় করত তাদেরও কোনো বৈধতা ছিল না। যার কারণে রবিবার থেকে সকল প্রকার খাজনা আদায়সহ চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এত দিন যারা অবৈধভাবে এসব কাজ করেছে—তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, নিমসার দেশের অন্যতম বৃহৎ শাকসবজির পাইকারি বাজার। এখানে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে খুচরা পর্যায়ে দাম অনেক কমে যাবে। কিন্তু বিগত সময়ে এখানে বেপরোয়াভাবে খাজনা ও চাঁদা আদায় করায় খুচরা বাজারে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রবিবার সকালে টাস্কফোর্সের অভিযানে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রকার খাজনা আদায় বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিমসার বাজার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন মামলায় গত ১৫ জুলাইয়ের আদেশে স্থগিতাদেশ থাকায় আজ ২৭ অক্টোবর থেকে ইজাদারদের সব প্রকার ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া না পর্যন্ত সব ধরনের টোল আদায় বন্ধ থাকবে।

নিমসার বাজারের বিক্রেতারা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নিমসার বাজারে খাজনার নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলেছে। অবস্থাটা এমন হয়েছে যে এক আঁটি শাপলা ২৫ টাকা বিক্রি করলে ইজারাদারকে ১০ টাকা খাজনা দিতে হতো। কোনো কৃষক শাক নিয়ে এলেও আঁটিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা দিতে হতো। বিশেষ করে আড়তদারদের বাইরে যাঁরা অস্থায়ী ব্যবসায়ী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসতেন, তাঁরাই বেশি বিপদে পড়তেন।