কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার শীমপুর এলাকায় বুধবার (১৯ জুন) ভোরে ৫ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে দুই সন্তানের জননী নূরজাহান বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর স্পর্শকাতর জয়গাসহ শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
আহত গৃহবধূ নূরজাহান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর বুধবার বিকেলে স্বামী খোরশেদ আলম (৪৫) ও তার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা জয়নাল আবেদীন।
মামলার বিবরণী ও স্বজনদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকের টাকা না পেয়ে ভোর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন নূরজাহানকে। একপর্যায়ে গরম খুনতি দিয়ে গোপনাঙ্গ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়িয়ে দেয় তারা। সকালে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নূরজাহানের বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। আমি এর আগে কয়েকবার তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করি।
এ বিষয়ে সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন বলেন, শারিরীক নির্যাতনের শিকার হাসপাতালে আহত নূরজাহানের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। বাকীদেরও আটকের অভিযান অব্যহত রয়েছে।