কুমিল্লায় মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে কঠোর আইন প্রয়োগ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
সূত্রমতে, চলতি বছর কুমিল্লার মহাসড়কে সাড়ে ৫ হাজার যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫৩৮০টি গাড়ি আটক করে দুই কোটি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনা রোধে ১৮২টি কমিউনিটি পুলিশিং টিমের মাধ্যমে কাজ করছে ২৭৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
জানা যায়, দেশের অর্থনীতির প্রধান লাইফ লাইন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। ব্যস্ততম এ মহাসড়কে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।
হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও চালক হেলপারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগ ছাড়াও মানবিকতা এবং আধুনিকতা দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি জনসাধারণ এবং যানবাহন চালকদের সচেতনতার আহ্বান জানান।
কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগগুলো হলো:
কঠোর আইন প্রয়োগ: বেপরোয়া গতি, পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালানো, আইন ভেঙে ইউটার্ন করা, ক্রটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালনা, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করাসহ নানা অসতর্কতার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনা কমাতে হাইওয়ে পুলিশ কঠোর আইন প্রয়োগ করছে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও চালক হেলপারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করা হচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা রোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই ক্যামেরা দিয়ে যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়াও অ্যাপস ব্যবহার করেও দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশের এ উদ্যোগগুলো লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।