নভেম্বর ২৮, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই, মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের মাঝে

কুমিল্লায় ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই, মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের মাঝে
কুমিল্লায় ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই, মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে স্থানীয় ও দর্শনার্থীদের মাঝে। ছবি: সংগৃহীত

দলবেধে উড়ে এসে বসে বড়ই গাছের ডালপালায়। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভরে ওঠে চড়ুই পাখিতে। আর তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর থাকে গোটা এলাকা। প্রতিদিন বিকেল হলেই হাজার হাজার চড়ুই পাখি কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্থ হোটেল নুরজাহানের বরই গাছে দলবদ্ধ হয়ে চড়ুই পাখিরা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।

আগের মতো বাসা-বাড়ির জানালা বা ছাদে এখন আর চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যায় না। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার হোটেল নূরজাহানে গিয়ে দেখা মিলেছে এ চড়ুই পাখির এক অপরূপ দৃশ্য। সূর্য ডোবার আগ মুহূর্তে সেখানে বসে চড়ুই পাখির মেলা। আলো-আঁধারে গাছে গাছে খেলায় মেতে ওঠে পাখির দল। কিচিরমিচির শব্দে চারপাশকে জাগিয়ে তোলে হাজারো পাখি। মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকেন যাত্রাবিরতি নেওয়া দূরপাল্লার বাসের শত শত যাত্রী। গত ৭/৮ বছর ধরে হোটেলটির গাছে অন্তত ৫ সহ¯্রাধিকেরও বেশি পাখি রাত্রীযাপন করে নিরাপদে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর থেকে দলবেঁধে ছুটে আসে হাজার হাজার চড়ুই পাখি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তাদের কিচিরমিচিরে মুখর থাকে মহাসড়ক সংলগ্ন সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকা। ছোট্ট একটি বরই গাছের পাতার চেয়ে যেন চড়ুই পাখি বেশি। একেকটি ডালে বসে আছে শত শত পাখি। তাদের কিচিরমিচির শব্দ আর লাফালাফিতে বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন হোটেলে যাত্রা বিরতিতে আসা দূর গন্তব্যের যাত্রী ও স্থানীয়রা।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, একসঙ্গে হাজার হাজার চড়ুই পাখি আগে দেখা গেলেও এখন সাধারণত দেখা মেলে না। তবে এ স্থানটিতে তারা নিরাপদে থাকতে পারছে। কেউ পাখিদের বিরক্ত করে না। তাই দীর্ঘদিন ধরে এসব পাখি এখানে অবস্থান নিয়ে রাত্রিযাপন করে।

দূরপাল্লার বাসের এক যাত্রী বলেন, যাত্রা বিরতিতে আমি যখনই এ হোটেলে আসি তখনই মুগ্ধ হয়ে পাখিগুলো দেখতে থাকি। এদের কিচিরমিচির ডাকে আমি মুগ্ধ হই। সরকারিভাবে পাখিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করলে লাখো পাখির নিরাপদ আশ্রয়ের স্থান হতে পারে।

স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, চড়ুই পাখি জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে, যে কারণে এদের বলা হয় স্প্যারো। মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে বলে কেউ যাতে এই পাখিদের মারার চেষ্টা না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা হয়েছে।