ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় চামড়ার বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা

Traders are busy selling leather in Comilla
কুমিল্লায় চামড়ার বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় কোরবানি শেষে বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন মৌসুমি ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পরে তারা এসব চামড়া আড়তদারদের কাছে বিক্রি করবেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখছেন।

রোববার সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহে তৎপরতা ছিল। পরে তা বিক্রি হবে চামড়ার পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে।

কুমিল্লার পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সরকারের বেঁধে দেয়া দর অনুযায়ী, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর ঢাকার বাইরে এ দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। এছাড়া লবণযুক্ত খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকায় কিনবে ট্যানারি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গতবারের চেয়ে দাম বেড়েছে ৩ টাকা।

কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকার চামড়া সংরক্ষণকারী সাব্বির হোসেন বলেন, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে পশু কোরবানি শুরু হয়েছে। এক ঘণ্টা লাগে পশুর শরীর থেকে চামড়া ছাড়াতে। আমরা ১২ টার দিকে চামড়া সংগ্রহ করতে নেমেছি। নগরীর রেইসকোর্স, শাসনগাছা ও বাগিচাগাঁত্ত এলাকায় আমাদের ৫০ জন কাজ করছে।

রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪ হাজার চামড়া সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, এবছর সরকার লবণযুক্ত চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে আমরা লবন ছাড়া কাঁচা চামড়া নিচ্ছি। প্রতিটি বড় সাইজের চামড়া ১৫০০ টাকা, মাঝারি সাইজের চামড়া ১২০০ টাকা, এর থেকে ছোট ৮০০ থেকে এক হাজার এবং ছোট চামড়া ৫০০ টাকা এবং সবচেয়ে ছোট চামড়া ৩০০ টাকায়  ট্যনারি মালিকদের কাছে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

গত বছর পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। আশা করছি এবছর ভালো দাম পাবো।

জানা গেছে, কোরবানির চামড়া সংগ্রহের মাধ্যমেই টিকে আছে দেশের তৃতীয় বৃহৎ রফতানি খাত ট্যানারি ব্যবসা। শুধু তা-ই নয়, ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন মাদ্রসা ও এতিমখানার সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি করে যা টাকা হয়, তার মাধ্যমে তাদের চার-পাঁচ মাসের খরচও উঠে আসে। তাই প্রতি বছর কুমিল্লা শহরের অলিগলি ও প্রধান সড়ক এবং গ্রামে গ্রামে চামড়া সংগ্রহের কাজে এগিয়ে থাকে স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ।

পরে তা বিক্রি হয় চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে। বেশির ভাগ চামড়া মূলত তাদের মাধ্যমেই বড় ব্যবসায়ীদের কাছে যায়।

কুমিল্লার কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, আড়তদারে চামড়া  আসতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। প্রথম দিন শুধু শহরের ভেতরে যেসব পশু কোরবানি হয়েছে, সেগুলোর চামড়া আমরা কিনবো। গরমের কারণে চামড়া ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই লবণ দিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।