কুমিল্লায় পবিত্র রমজানে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শতকোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ১০ রমজানের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে শপিংমলগুলোতে। তবে শেষ ১০ দিনকে ভাগ্য বদলের সময় বলে মনে করছেন তারা।
কুমিল্লা নগরীর সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, কিউআর টাওয়ার, সোনালী স্কয়ার শপিং মল, ইস্টার্ণ এয়াকুব প্লাজা, প্ল্যানেট এসআর, হিলটন টাওয়ার, নিউ মার্কেট, চৌরঙ্গী শপিং সেন্টার, কুমিল্লা টাওয়ার, সিল্ভার রহমান ভিলার আড়ং, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গোমতী টাওয়ার, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় হোয়াইট হাউজ শপিং সেন্টারে সকাল থেকে রাত অব্দি পছন্দের পোষাক ও ঈদ অনুষঙ্গ খুঁজে বেড়াচ্ছে ক্রেতারা।
আজ শনিবার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইন আর মডেলের পোশাক শোভা পাচ্ছে বিপণি বিতানগুলোতে। ফুটপাত এবং হকার্স মার্কেট থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত শপিংমলগুলোতে নেমেছে ক্রেতার ঢল।
কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়, ঝাউতলা, বাদুরতলা, চকবাজার ও রাজগঞ্জ এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, শুধু ইফতারের সময় ৩০ মিনিটের বিরতি ছাড়া মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
এদিকে গরমকে সামনে রেখে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে থ্রি-পিস, লেডিজ টপস, বিভিন্ন ডিজাইনের কুর্তি-প্যান্ট, শাড়িসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাক। তরুণীদের পোশাক এক হাজার থেকে শুরু করে দশ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
ছোটদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পার্টি ফ্রক। এ ছাড়া মার্কেটগুলোতে উঠেছে লেহেঙ্গা ও লং কামিজেরও চাহিদা রয়েছে। ছেলে শিশুদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সুতি টি-শার্ট ও বেবি স্যুট। এ ছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট।
শিশুদের জন্য দক্ষিন চর্থা থেকে পোশাক কিনতে আসা এক বাবা-মা বলেন, গত ঈদের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে বাচ্চাদের পোশাকে।
অপরদিকে ঈদে তরুণদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে প্রতিবারের মতো এবারেও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির সমাহার দেখা গেছে মার্কেটগুলোতে। তবে পাঞ্জাবি কেনার ক্ষেত্রে মার্কেটের চেয়ে কুমিল্লার খাদি দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে অনেক বেশি।
জেলার মনোহরগঞ্জ থেকে আসা এক ক্রেতা বলেন, আত্মীয়দের জন্য কেনাকাটা অধিকাংশ রোজার শুরুতেই করে নিয়েছেন। এখন নিজের পরিবারের জন্য শুরু করেছেন।
কুমিল্লা নগরীর লাকসাম রোডস্থ খাদি কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে প্রতিদিন। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে খাদি পাঞ্জাবির যোগান ও চাহিদা উভয়ই বাড়ছে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেল মিলিয়ে খাদি পাঞ্জাবির সমাহার রয়েছে নগরীর রাজগঞ্জ মনোহরপুর, কান্দিরপাড়ের দোকানগুলোতে।
কয়েকজন খাদি কাপড় বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, পাঁচশ থেকে আড়াইহাজার টাকার মধ্যে খাদি পাঞ্জাবি বিক্রয় করছেন তারা। সিল্কের ব্যবহার করে খাদি পাঞ্জাবির আকর্ষণীয়তা বাড়ানো হচ্ছে।
এর আগে রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, ‘অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কিনা এবং ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও কুমিল্লা শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়ন করা হবে।’