ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪

শনিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় আমের আকৃতি আর রঙ দেখে মুগ্ধ স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা

Locals and visitors are impressed by the shape and color of mangoes in Comilla
কুমিল্লায় আমের আকৃতি আর রঙ দেখে মুগ্ধ স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর গ্রামের একটি বাগানে ঝুলছে ১০ জাতের আম। বিভিন্ন রঙ আর আকৃতির আম দেখে মুগ্ধ স্থানীয়রা। আশ-পাশের গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিনই বাগান দেখতে ভিড় জামান। আম গুলোর নামও বিচিত্র। ব্রুনাই কিং, কিউ জাই, বানানা, থাই পেয়ারা, ডক মাই, কাটিমন। আরো রয়েছে আ¤্রপালি, বারি-০৪, হাড়ি ভাঙ্গা ও ফজলি।

হাসানপুর গ্রামের মোস্তাক মিয়া ও মাহমুদা হায়দার চৌধুরী কনক দম্পতি এ বাগান গড়ে তোলেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর ডিগ্রি কলেজ। কলেজের পাশ ঘেঁষে একটি সড়ক গ্রামে প্রবেশ করেছে। অল্প সামনে গেলেই সড়কের পূর্ব পাশে আম বাগানটি। আমের ভারে ডাল ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম।

ব্রুনাই কিংয়ের ওজন ৫ কেজির কাছাকাছি। বাগানে, বিশ্রাম কক্ষের সামনে, পুকুর পাড়ে আমের সমারোহ। যেন আমের মেলা বসেছে। হাঁটতে গেলে মাথায় লাগে আমের থোকা। বাতাসে দোল খেতে দেখা যায় বর্ণিল সব আম।

মাহমুদা হায়দার চৌধুরী কনক বলেন, পারিবারিক জায়গায় শখের বশে আম বাগান করেছি। এখানে দুই একর জমি। বাগের দুই শতাধিক আম গাছ রয়েছে। বিভিন্ন নার্সারি, অনলাইন ও কৃষি বিভাগ থেকে চারা সংগ্রহ করি। ২০১৮ সালে গাছ লাগাই। ২১ সাল থেকে ফল আসছে। ভালো ফল পেয়েছি। ফল স্বজনদের মাঝে বিতরণ করেছি। সামনে হয়তো বাণিজ্যিক চিন্তা করবো।

দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম বাসসকে বলেন, এখানে ব্যতিক্রম জাতের আমের চাষ হয় শুনে দেখতে এসেছি। এসে ভালো লাগলো। চোখ ফেরানো যায় না। এটা যেন আমের রাজ্য। খবর: বাসস

দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারোয়ার  জামান বলেন, উপজেলায় পরিবার কেন্দ্রিক ফলের চাষ বাড়ছে। এটি উপজেলার বড় বাগান। আমরা বিভিন্ন সময় তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।