নভেম্বর ৩, ২০২৪

রবিবার ৩ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের চাপা, একই পরিবারের ৩ নারী নিহত, আহত ৩০

Road Accident in Cumilla
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিন নারী সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার ( ১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার মহাসড়কের জিংলাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনাঘটে ।

নিহতরা হলেন উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের হাজারী বাড়ীর মৃত রশিদ হাজারীর স্ত্রী রোসিয়া বেগম (৬২), তার আপন বড় বোন বারপাড়া গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৬৫) এবং তার পুত্রবধূ সুমাইয়া আক্তার (২৫)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী কেকে পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি এসি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ফজিলাতুন্নেছা এবং রোসিয়া বেগম মারা যান। তারা দুজন আপন বোন।

তাৎক্ষনিক দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশার আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমাইয়া আক্তার নামে আরো একজন মারা যান।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসযাত্রীরা জানান, ‘ঢাকা থেকে কে কে ট্রাভেলসের এসি বাসে নোয়াখালী যাচ্ছিলাম। গৌরীপুর পার হওয়ার পর জিংলাতলী এলাকায় উল্টোপথে আসা একটি অটোরিকশাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের বাসটি খাদে পড়ে যায়।’

নিহতদের স্বজনরা বলেন, ফজিলাতুন্নেছার ছেলে আব্দুল মান্নানের শ্বশুর বাড়ি ছান্দ্রায় সবাই বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পরিবারের তিন নারী মারা গেছেন।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মহসিন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন একই পরিবারের। তাদের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক।