সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার নয় দিনের ছুটি শেষে খুলেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদাী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কারণে পরিবহন সেবা বন্ধ রেখেছে কুবি প্রশাসন।
অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রেখে পরিবহন সেবা বন্ধ রাখায় ক্ষুব্ধ কুবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুবি পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, রবিবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা বন্ধ থাকবে। তবে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। যদিও এ বিষয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি প্রশাসন।
অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ওয়াসিম আকরাম বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আমি মোটেও সমর্থন করি না। আমার মনে হয় আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে।
এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া অপেক্ষা একত্রে বাসে যাওয়াটাকে আমি নিরাপদ মনে করি। আশা করি ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন আরও সর্তক হবেন।
গনিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নুসরাত রশীদ জানান, পরিবহন সেবা বন্ধ রেখে ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখাটা আসলে মেনে নেয়ার মতো না। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু অল্প কয়েকজন স্টুডেন্ট না।
অনেক স্টুডেন্ট এখানে। এতজন স্টুডেন্ট বাস ছাড়া ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা অনেক দুর্বিষহ একটা ব্যাপার; এবং এটা নিরাপদও নয় শিক্ষার্থীদের জন্য।
আবার অনেক স্টুডেন্ট এর আর্থিক সমস্যা আছে। তাদের পক্ষে গাড়ি ভাড়া দিয়ে গিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা কষ্টকর হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এতজন স্টুডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য ঠিক সময়ে অন্য গাড়ি পাবে কিনা, এটাও একটা ভোগান্তির ব্যাপার।
এতে দেখা যাবে ক্লাস-পরীক্ষায় সঠিক সময়ে গিয়ে পৌঁছাতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে বাস সেবা চালু রাখা।
পরিবহন প্রশাসক ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। রেজিস্ট্রার আমাদের যে ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেটি বাস্তবায়ন করেছি।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি প্রতিবেদককে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
সার্বিক বিষয়ে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এর মন্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।