
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। তবে এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যায় বড় ধরনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করা ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ধাপে আবেদন করেছে মাত্র ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ জন।
অর্থাৎ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বাদ দিলেও এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুসারে, ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয় ৩০ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। সাধারণত, প্রথম ধাপেই বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আবেদন করে থাকে। তবে এ বছর কেন এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিয়াজুল হক জানান, কিছু শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করে থাকতে পারে, যার হিসাব এখানে নেই। তবে প্রতি বছরই কিছু শিক্ষার্থী আবেদন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকে।
ভর্তির জন্য মোট তিনটি ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের ফলাফল আজ প্রকাশ করা হবে। এরপরও যারা আবেদন করতে পারেননি বা নির্বাচিত হননি, তাদের জন্য আরও দুটি সুযোগ রয়েছে।
- দ্বিতীয় ধাপ: আবেদন গ্রহণ করা হবে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট। ফলাফল প্রকাশ হবে ২৮ আগস্ট।
- তৃতীয় ধাপ: আবেদন করা যাবে ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর।
এই ধাপগুলো শেষ করে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে। ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।
অন্যদিকে, সারাদেশে কলেজ ও মাদরাসায় একাদশে ভর্তির জন্য আসন রয়েছে ২৬ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি। এতে বোঝা যাচ্ছে, সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এ বছর বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকবে।