মে ২৮, ২০২৫

বুধবার ২৮ মে, ২০২৫

কবি নজরুলের ভালোবাসার শহর কুমিল্লার ‘স্মৃতিচিহ্ন’ সংরক্ষণ করবে সরকার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা: প্রেম, বিদ্রোহ আর সৃষ্টির পীঠস্থান কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে অবশেষে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে এই কাজ পুরোপুরি শেষ নাও হতে পারে।

গতকাল রবিবার কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “কুমিল্লায় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে সরকার কাজ শুরু করবে। কিন্তু এই সরকারের আমলে হয়তো স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কাজ শেষ হবে না। পরবর্তীতে যে সরকার আসবে, তাদেরকে এই কাজটা শেষ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, কাজী নজরুলের জীবনের এক বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে কুমিল্লা। প্রেম, বিয়ে, গ্রেপ্তার, কবিতা-গান—সব কিছুরই জন্ম হয়েছিল এই শহরে। কান্দিরপাড়, ধর্মসাগর, টাউন হল, এমনকি দৌলতপুরের খাঁ-বাড়ি আজও নজরুলের স্মৃতি বহন করছে। এখানেই তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য কালজয়ী গান ও কবিতা।

উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জাতীয় কবির বর্ণাঢ্য চরিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “নজরুল ইসলাম বর্ণাঢ্য চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। উনাকে নিয়ে সিনেমা বানালে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হবে। জাতীয় কবির দর্শন অনেক চমৎকার ছিল। নজরুল ইনস্টিটিউট সেগুলো অনুবাদের কাজ করছে। এখানে সরকারি কোনো প্রোপাগান্ডা থাকবে না। একটা সত্যিকার কাজ হবে।”

গত জুলাই মাসে সংঘটিত গণআন্দোলনে কাজী নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপনারা যদি গত জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলনের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন নজরুল কী রকমভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিলেন। দেয়ালের লেখনিতে দেখবেন নজরুলের কবিতা-গান কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি কিন্তু শিল্পের শক্তি। আজ থেকে ১০০ বছর আগে তিনি কোথায় বসে গান কবিতা লিখেছেন, উনি তখনও জানতেন না বাংলাদেশের মানুষ তার গান ও কবিতার অবলম্বন হয়ে উঠবে। এটিকে অবলম্বন করে তারা একটি বড় গণঅভ্যুত্থান পরিচালনা করবে। শিল্পের শক্তিই নজরুলের শক্তি।”

উল্লেখ্য, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং আয়োজন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন