ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

এবার সুইডেনের পর ডেনমার্কে পোড়ানো হলো কোরআন

This time, after Sweden, the Quran was burned in Denmark
এবার সুইডেনের পর ডেনমার্কে পোড়ানো হলো কোরআন। ছবি: সংগৃহীত

সুইডেনের পর এবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের সামনে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী। এর ফলে ডেনমার্কের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলির সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন মসজিদের কাছে এবং দেশটিতে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইরাক নিন্দা জানিয়েছে।

এর আগে গত মাসের শেষ দিকে সুইডেনে কোরআন পোড়ানো নিয়ে রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড বেধে গিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রমজান মাসে বিভিন্ন স্থানে কোরআন পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন পালুদান। গত বছর তার এমন ঘোষণার পর সুইডেনজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। এবার সেই ঘোষণা মোতাবেক সুইডেনে ও ডেনমার্কে এ কাণ্ড ঘটালেন তিনি।

এ ছাড়া পালুদান নামে ওই ব্যক্তি অঙ্গীকার করেছেন সুইডেন যতদিন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার অনুমতি না পাবে ততদিন প্রতি শুক্রবার কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করা হবে।

এদিকে সুইডেন ও ডেনমার্ক তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকারের সুরক্ষায় করা আইনের অধীনে বিক্ষোভকারীদের কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়। যা নিয়ে ইরান এবং ইরাকসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কয়েকটি দেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।

ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে বাক স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের অধিকারের সুরক্ষার বিষয়টি অবিলম্বে আরও একবার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি বলেন, “এর সঙ্গে কোনোভাবেই মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা যুক্ত থাকতে পারে না। যারা এই ধরনের কাজ করছে, তাদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। আর এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা ইউরোপের দেশগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে।”