ঈদ-উল আযহার ছুটি শেষ হলেও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কমেনি কুমিল্লার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়। ঈদের দিন থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত আসা হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় জমেছে কুমিল্লার দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
ঈদের দিন সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শীদের ভিড়। এছাড়া আজ শুক্রবারও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শীদের সমাগম ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে দর্শকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের নগর উদ্যান ও শহরের আশেপাশের এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী থেকে শুররু করে সব বয়সীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। আনন্দে মেতেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। বিনোদনে একাকার হয়ে গেছে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে নিয়ে আনন্দ উল্লাসে কেটেছে ভ্রমণ পিপাষুদের।
এছাড়া শহরের বাহিরে ময়নামতি সেনা নিবাস এলাকার রূপসাগর, গোমতি নদীর পাড়ের উপল ল্যান্ড, পালপাড়া ব্রীজ এলাকা, লালমাই লেক লেন, নূরজাহান পার্ক, সদর দক্ষিণের লালবাগ এলাকার ইকোপার্ক ছিল হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণা।
ঘুরতে আসা ফারজানা খন্দকার বলেন, এবারের ঈদের ছুটি লম্বা। তাই কোন দিকে না তাকিয়ে ছুটে এসেছি ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে। স্বামী, সন্তানদের সাথে যুক্ত আছে ননদ ও দেবরাও। বলতে গেলে পুরো পরিবারই চলে এসেছি ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার কোটবাড়ি ও শালবন বিহার দেখতে। এখানে আসার পর ম্যাজিক প্যারাডাইস ছিল আমাদের অতিরিক্ত আনন্দের কারণ।
জানা গেছে, ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিতে ২২ জুন ম্যাজিক প্যারাডাইস এ থাকছে মডেল ও অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। বিষয়টি ম্যাজিক প্যারাডাইসের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন– ছুটিতে কুমিল্লার যেসব জায়গায় ঘুরে কাটাতে পারেন
ম্যাজিক প্যারাডাইসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুদাব্বির হোসেন নাছির জানান, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন পর্যকট ছিল চোখে পড়ার মতো। আমাদের এখানে দর্শনার্থীরা সুযোগ সুবিধা বেশি পাওয়ায় আসেও বেশি।
এদিকে ঈদকে ঘিরে কুমিল্লার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী। তাতেও বেশি খুশি ভ্রমণ পিপাষুরা।