জুলাই ৪, ২০২৫

শুক্রবার ৪ জুলাই, ২০২৫

ইলিশের সরকারি দাম নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

চাঁদপুরসহ দেশের অন্যান্য জেলায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও এর মূল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থেকে যায়। তাই ইলিশের সরকারি দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল ইলিশের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত জুন মাসে বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করে। প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ শাখার স্মারক ২৬ জুন তারিখে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, কমিশনারদের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে চাঁদপুরের ইলিশের চড়া মূল্য এবং অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত দাম হাঁকানোর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার সমীপে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চাঁদপুরের ইলিশের সুনামকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন, যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। যেহেতু ইলিশ শুধু চাঁদপুরেই নয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি-সহ অন্যান্য সাগর তীরবর্তী জেলাতেও ধরা পড়ে, তাই কেবল চাঁদপুর প্রশাসনের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয় এবং জেলেদের উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। অথচ অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এর দাম অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের একটি যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছিল, যা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন।

চাঁদপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “চাঁদপুরসহ দেশের ১০ থেকে ১২ জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে এবং ক্রয়-বিক্রয় হয়। আমরা মনে করছি, চাঁদপুরে অংশীজনদের নিয়ে ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তখন এ ইলিশ অন্য জেলায় গিয়ে বিক্রি হবে। এরই ভিত্তিতে আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি। ইলিশের বাজার মূল্য যাতে করে সিন্ডিকেটের খপ্পরে না পড়ে এবং উচ্চমূল্য না হয়।”

আরও পড়ুন