আইপিএলে টানা চারটি ম্যাচে হারার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে কেকেআর হারিয়েছে ২১ রানে।
বুধবার বিরাট কোহলিদের ঘরের মাঠে টস হেরে নীতিশ রানারা প্রথমে ব্যাট করলেন। চিন্নাস্বামীতে কেকেআর নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলল ২০০। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বেশ ভালো একটা স্কোর করল নীতীশ অ্যান্ড কোং। আর এই রান ডিফেন্ড করে কলকাতা ম্যাচ জিতল ২১ রানে।
এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০০ রান তোলে কলকাতা। জবাবে কলকাতার বোলারদের দাপটে ৮ উইকেটে ১৭৯ শেষ আরসিবি। ব্যাটারদের ব্যর্থতাই ডোবাল আরসিবিকে। কোহলি বাদে বাকি ব্যাটাররা কেউই ভালো খেলতে পারলেন না।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করে কেকেআর। উমেশ যাদবের দ্বিতীয় ওভারের চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দেন দু-প্লেসিস।
তৃতীয় ওভারেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে দলে আসা সুয়াশ শর্মাকে আক্রমণে নিয়ে আসেন নীতিশ রানা। সেই ওভারেই দু-প্লেসিসকে তুলে নিয়ে বড়সড় ঝটকা দেন মিস্ট্রি স্পিনার। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই শাহবাজ আহমেদ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে দেন সুয়াশ, বরুণ চক্রবর্তী। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন উইকেট খুঁইয়ে বসে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় লাল জার্সির দল।
কোহলি একপ্রান্তে টিকে থেকে অনবদ্য হাফসেঞ্চুরি করে যান। মহীপাল লোমরোর সঙ্গে ৫৫ রানের পার্টনারশিপে কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন কিং কোহলি। তবে পরপর দু-ওভারে রাসেল এবং বরুণ চক্রবর্তী কোহলি এবং মহীপাল লোমরোর কে ফিরিয়ে দেওয়ার সঙ্গেই কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ১৮ বলে ২২ করলেও কাজে আসেনি।
আগামী শনিবার কলকাতা খেলবে ফের হোম ম্যাচ। ইডেনে এবার নীতীশদের প্রতিপক্ষ হার্দিক পাণ্ডিয়ার গুজরাত।
এছাড়াও, দিল্লির বিপক্ষে নিজের আইপিএল অভিষেকে ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রান করেন লিটন। কিপিং ছিল আরও গড়পড়তা মানের। সেটার মাশুল দিতে হচ্ছে তাঁকে। চেন্নাইয়ের পর আজ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও লিটনকে বসিয়ে রাখে কলকাতা।