ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি। ছবি: সংগৃহীত

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে সরকার। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়।

রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল (সোমবার) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় গেল ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর পর থেকেই বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। যে পেঁয়াজের কেজি মার্চে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল, সেটি দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত ঐ চিঠিতে বলা হয়েছিল, উপযুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ লাখ টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ দশমিক ৬৫ লাখ টন।