গত বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এবং বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট) এর ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্তৃক “শিক্ষাবিদ্যা এবং পেশাগত উন্নয়ন” বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সম্মেলন কক্ষে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম দিনের কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. কে. আহমেদ আলম বিভিন্ন বিভাগে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান পদ্ধতির মানোন্নয়ন, বাস্তবমুখী ও সমস্যানির্ভর শিক্ষাদান কৌশল এবং কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অধিক যোগ্য করে তোলার জন্য সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের কৌশল শেখান। নতুন এবং পুরাতন শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের কর্মশালায় ড. আহমেদ “নৈতিকতা এবং পেশাগত উন্নয়ন ” বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আইকিউএসি, বাইউস্ট কর্তৃক আয়োজিত দুদিনের এ কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসাইন (অব.), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.)।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, “পেশাগত নৈতিকতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পরিবেশের মধ্যে ন্যায্যতা, সমতা, পক্ষপাতহীনতা এবং একটি সহযোগী মানসিকতা তৈরি করে। যে প্রতিষ্ঠানে সমস্ত লোকের সাথে সমানভাবে এবং সম্মানের সাথে আচরণ করা হয়, সেখানে নৈতিক মান বজায় রাখা নিশ্চিত সম্ভব এবং সে প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধির পাশাপাশি একজন শিক্ষকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্যও এটি একটি অপরিহার্য শক্তি হিসেবে কাজ করে। উত্তম নৈতিকতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুন্দর ভাবমর্যাদা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এমন সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে, যা তাদের পেশাকে এবং সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানকে অসম্মানিত করে।”
তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু মানুষ গড়ার আদর্শ কারখানা, এখানে শিক্ষকদের পেশাগত নৈতিকতা অবলম্বন অন্যান্য পেশা থেকে ভিন্ন ও তাৎপর্যপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেশাগত নৈতিকতার ব্যাপ্তি অন্যান্য পেশা থেকে একটু ব্যতিক্রম হওয়ায় এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেলায় শুধু লিখিত নীতিমালাই নৈতিকতা অবলম্বনের মানদন্ড নয়, এর বাইরেও অবস্থা ও পরিবেশের উপর ভিত্তি করে তাদের নৈতিক ভূমিকা পালন করতে হয়।”
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক কাজী শহীদুল ইসলাম।