ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

অবশেষে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে স্বপ্ন পূরণের পথে মরক্কোর

Rising Cumilla - Morocco-Spain-Portugal 2030 World Cup
ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে পারে মরক্কোর। স্পেন ও পর্তুগালের সাথে যৌথ এই বিড এখন ফিফার ঘোষনার অপেক্ষায়। এর মাধ্যমে উত্তর আফ্রিকান দেশটির আন্তর্জাতিক ইমেজ ও অর্থনীতি আলোর মুখ দেখবে বলেই সকলের বিশ্বাস।

বুধবার ফিফার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসছে। দক্ষিণ আমেরিকায় বিশ্বকাপের প্রথম আয়োজনের থেকে এক শতক পেরিয়ে শতবর্ষী আয়োজনে তাই স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কোর সাথে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েরর নামও যুক্ত হচ্ছে।

বিশ্বকাপ আয়োজনের বিডে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ১৯৮৭ সালে অংশ নিয়েছিল মরক্কো। ৪০ বছর আগের ঐ বিডের লক্ষ্য ছিল ১৯৯৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের।

সব মিলিয়ে মরক্কোর রাজধানী রাবাত পাঁচবার বিডে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপও রয়েছে। এর আগে আফ্রিকান দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মত ২০১০ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছিল। সেবারও বিডে অল্পের জন্য মরক্কোর সুযোগ হয়নি।

২০৩০ বিশ্বকাপ কমিটির মরক্কোর প্রধান ফৌজি লেজা বলেছেন, ‘এটি জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের পর্যটনকে চাঙ্গা করার একটি অনন্য সুযোগ।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বক্তৃতায় লেজা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনার উপর জোড় দেন।

মরক্কোর সরকার ছয়টি স্বাগতিক শহরে রাবাত, ক্যাসাব্লাঙ্কা, ফেস, টাঙ্গিয়ার, মারাকেশ এবং আগদির অবকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, সড়ক ও পরিবহন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি হোটেল ও বাণিজ্যিক পরিষেবা বৃদ্ধি করা।

ছয়টি শহরের ছয়টি স্টেডিয়ামের সংষ্কার কাজ ইতোমধ্যেই চলমান রয়েছে।

একইসাথে ক্যাসাব্লাঙ্কার নিকটবর্তী এক লাখ ১৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নতুন একটি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪৮০ মিলিয়ণ ইউরো।

এই প্রকল্পগুলি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ক্রীড়া প্রকল্প বিশেষজ্ঞ।

মেক্সিকোতে ১৯৮৬ সালে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরেই মরক্কো বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করে। এই আসরে প্রথম কোন আফ্রিকান ও আরব জাতি হিসেবে নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মরক্কো। দেশের ভাবমূর্তী বিশ্বের দরবারে সমুন্নত করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফুটবলকে ব্যবহারের পরিকল্পনা তখন থেকেই মাথায় আসে।

২০১৫ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপ মরক্কোতে আয়োজনের কথা থাকলেও পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারীর কারনে শেষ পর্যন্ত সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে আগামী বছর ডিসেম্বরের শুরুতে পরবর্তী নেশন্স কাপ মরক্কোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

২০২২ সালে নারী আফ্রিকান নেশন্স কাপ এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ক্লাব বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি আসরও মরক্কোয় আয়োজিত হয়েছে।