আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে গুজবের ছড়াছড়িও ভয়াবহ হারে বেড়েছে। বিশেষ করে জাতীয় সংকটের সময় এই গুজব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
কেন ছড়ায় গুজব?
- আবেগের খেলা: মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়েই মূলত গুজব ছড়ানো হয়। ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী বা রাজনীতি—যে কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে আবেগকে উস্কে দেওয়া হয়।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক—এসব প্ল্যাটফর্ম গুজবের অন্যতম আধার। ভিডিও, ছবি, লেখা—যেকোনো মাধ্যমে গুজব ছড়ানো যায় খুব সহজে।
- এআই ও এডিটিং টুল: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কল্যাণে এখন ছবি, ভিডিও এমনকি অডিওও বানোয়াট করা যায়। ফলে গুজব আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে।
গুজব যাচাই করার উপায়:
- স্বাধীন সূত্র: কোনো খবর শেয়ার করার আগে অন্তত দুই-তিনটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তা যাচাই করে নিন।
- ফ্যাক্ট চেক ওয়েবসাইট: যাচাই.অর্গ, এএফপি-এর ফ্যাক্টচেক ওয়েবসাইট, স্নোপস-এর মতো ওয়েবসাইটে খবরটি সার্চ করে দেখুন।
- ছবি ও ভিডিও যাচাই: গুগল ইমেজ সার্চ, টিনআই, ফটো ফরেনজিকস-এর মতো সাইটে ছবি আপলোড করে তার সত্যতা যাচাই করুন।
- সন্দেহ করুন: যদি কোনো খবর খুবই চমকপ্রদ মনে হয় বা আপনার মধ্যে সন্দেহ জাগে, তাহলে তা শেয়ার করার আগে ভালো করে ভাবুন।
কেন গুজব রোধ করা জরুরি?
- সামাজিক অস্থিরতা: গুজব সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি করে এবং অস্থিরতা বাড়ায়।
- আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি: গুজবের কারণে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধ হতে পারে।
- দেশের ভাবমূর্তি: ভুল তথ্য বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
আমরা সবাই মিলে গুজব রোধে কাজ করতে পারি।
- সচেতনতা বাড়ান: নিজে সতর্ক থাকার পাশাপাশি পরিবার, বন্ধুবান্ধবকেও সচেতন করুন।
- তথ্য যাচাই করুন: কোনো খবর শেয়ার করার আগে সত্যতা যাচাই করুন।
- গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন: যদি দেখেন কেউ গুজব ছড়াচ্ছে, তাহলে তাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতন করুন।